খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে সবগুলো সড়ক, জরুরী বিভাগ ও বর্হিবিভাগ ভবনের সামনে দাড়িয়ে আছে অসংখ্য অ্যাম্বুলেন্স। সড়কে দাড়িয়ে রোগী টানতে হাঁকডাক করছেন তাদের সহকারিরা। অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের যন্ত্রণায় হাসপাতালের ভবনগুলোতে প্রবেশ ও বের হতে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। অনেক সময় ইটার্ন চিকিৎসকরা তাদের হাতে নাজেহাল হচ্ছেন।
এ অবস্থায় হাসপাতালের প্রধান ফটকের ভেতর থেকে এবং বহিঃবিভাগের সামনে অ্যাম্বুলেন্স রাখা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. মো. মোহসীন আলী ফরাজী চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাউন্ডারীর মেইন গেটের ভিতর ও বহিঃবিভাগের সামনে বহিরাগত অ্যাম্বুলেন্স রাখায় হাসপাতালের সরকাার অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য জেলা ও উপজেলা থেকে আসা অ্যাম্বুলেন্স জরুরী বিভাগে আসা যাওয়ায় অসুবিধা হয়। তাছাড়া বহিরাগত গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপারগণ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও ইন্টার্ন নার্সিং মেয়েদের নানা ধরনের বাজে মন্তব্য করেন। যার ফলে হাসপাতালে নানা ধরনের অসুবিধাসহ প্রশাসনিক জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। সেহেতু জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতাল বাউন্ডারীর ভিতরের বহিরাগত অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল বাউন্ডারীর বাহিরে বের করা প্রয়োজন।’
রোগীর স্বজনরা জানান, বহিরাগত অ্যাম্বুলেন্স চালকরা সিন্ডিকেট তৈরি করে রোগীদের কাছে উচ্চ ভাড়া রাখেন। অনেক সময় রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে দুব্যবহারও করেন। এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
খুলনা গেজেট/এএজে